কুষ্টিয়া জেলা কারাগারে কয়েদির মৃত্যু
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়া জেলা কারাগারে জামির হোসেন (৫৪) নামে এক কয়েদির মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর কারণ হিসেবে হৃদরোগকে চিহ্নিত করছেন বলে জানান ২৫০শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. আশরাফুল আলম।মৃত সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি হলেন- নীলফামারী জেলার মৃত আকবর আলীর ছেলে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার মোল্লাতেঘরিয়া ক্যানাল পাড়ার বাসিন্দা জামির হোসেন (৫৪)।তিনি বিগত ১৯৯৮ সাল থেকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ও জেলবন্দী হয়ে সাজা ভোগ করছিলেন। জেল তত্ত্বাবধায়ক মো. তায়েফ উদ্দিন মিয়া জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি জামির হোসেন বুকের ব্যাথায় অসুস্থ হয়ে পড়েন।সংবাদ পেয়ে জেল কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১২টার দিকে তাকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. আশরাফুল আলাম জানান, শুক্রবার রাতে কুষ্টিয়া জেলা কারাগার থেকে জামির হোসেন নামে যে রোগীকে ভর্তি করা হয়েছিল তিনি কার্ডিয়াক এরেস্টজনিত কারণে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন। রাত ১২টার দিকে তাকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।মৃত জামির হোসেনের একমাত্র ওয়ারিশ তার মেয়ে সদর উপজেলার মোল্লাতেঘরিয়া ক্যানাল পাড়ার বাসিন্দা চাঁদনী খাতুন (২৫) মরদেহ গ্রহণ করার জন্য জেল গেটে অপেক্ষ করছিলেন।তিনি বলেন, আমার মা রুমা খাতুনের সাথে পারিবারিক কলহের জের ধরে মারধর করতে গিয়ে মা মারা যান। সেই মামলায় আব্বা জেল খাটছিল। আর কয়েকদিন পরই জেল খেটে বের হওয়ার কথা ছিলো। বের হলো ঠিকই তবে জীবিত না মৃত।